
জামালপুর প্রতিনিধি : জেলা জুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন জামালপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সুলতান মাহমুদ । জেলার ৭ টি উপজেলা ও ৬৮ ইউনিয়নে সাধারণ মানুষদের মুখে মুখে ফুটে উঠেছে তার নাম। তিনি পাবনা জেলার ইশ্বরদী উপজেলার চর কুডুলিয়া গ্রামে ১৯৮৩ সালের ২ মে জন্ম গ্রহণ করেন । তিনি চর কুডুলিয়া গ্রামের আলা উদ্দিন খার ছেলে। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায় জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে প্রথম কর্মদিবস শুরু করেন। ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী (৩ বছর ১ মাস) পর্যন্ত সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে ব্যাপক স্বনাম অর্জন করেন। এদিকে পদোন্নতি পেয়ে ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাগুরা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দান করে ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী (৩ বছর ১ মাস) কর্মরত ছিলেন। এরপর ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী তিনি জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীর হিসেবে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর (১ বছর ৭ মাস) পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারী থেকে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি টঙ্গীতে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। অন্যদিকে অবহেলিত জামালপুর জেলায় তিনি ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই অবহেলিত জেলায় তিনি উন্নয়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও সঠিক তদারকির ফলে এ জেলায় জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন হয়। এরপর থেকেই বর্তমান পর্যন্ত দলমত নির্বিশেষে সব মহলের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি ।

উল্লেখ্য যে, বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস দেখা দিলে নিজের জীবন বাঁজি রেখে কর্মস্থল জামালপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেন তিনি। এ ছাড়াও তিনি ব্যক্তিগত ভাবেও মানুষদের সহযোগিতা করে আসছেন।
এ বিষয়ে জামালপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সুলতান মাহমুদ জানান, জামালপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড চলমান আছে। চলমান কাজ গুলো আমি নিজেও পরিদর্শন করে আসি। আমার পাশাপাশি উপজেলায় পর্যায়ে সহকারী প্রকৌশলী এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী গন উক্ত চলমান কাজগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পতিনিয়ত পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে সমস্ত উন্নয়নমুলক কার্মকান্ডের সঠিক গুনগতমান বজায় রেখে চলেছেন। পরিদর্শন কালে সুবধিাভোগীদের কাছ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তা চড়ুান্ত বিল প্রদানের পূর্বেই সংশোধন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
dailyalochitosangbad